ফ্রী ডাউনলোড করুন –জয়পুরহাট ব্র্যান্ডিং বই
বিনামূল্যে বইটি পড়তে ও ফ্রি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন...
>ফ্রী ডাউনলোড করুন –জয়পুরহাট জেলা ব্র্যান্ডিং বই
ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দী পযর্ন্ত জয়পুরহাটের ইতিহাস খুবই অস্পষ্ট। কারণ এই সময় ভারতবর্ষের ইতিহাসে জয়পুরহাটের কোন স্বতন্ত্র ভৌগোলিক অবস্থান ছিল না । জয়পুরহাট দীর্ঘকাল গৌড়ের পাল এবং সেন রাজাদের রাজ্য ভূক্ত ছিল। পূর্বে বর্তমান জয়পুরহাটের স্থানীয় নাম ছিল বাঘাবাড়ীহাট, পরবর্তীকালে কাগজপত্রে গোপেন্দ্রগঞ্জহাট লেখা হতে থাকে। সে সময় জয়পুরহাট নামে কোন স্থানের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। বর্তমান জয়পুরহাট এবং পাঁচবিবি উপজেলার গ্রামসমূহ নিয়ে একসময় লালবাজার থানা গঠিত হয়েছিল। জয়পুরহাট সদর থানার পশ্চিম প্রান্তে যমুনা নদীর পূর্বতীরে পুরানাপৈলে এই থানা অবস্থিত ছিল । স্থানটি বর্তমানে করিমনগর বলে পরিচিত। করিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট যমুনা নদীর ঘাটকে আজও থানার ঘাট বলা হয় । এর দক্ষিণে যে স্থানে বাজার বসত সে স্থানকে এখনও বাজারের ভিটা বলা হয়ে থাকে। এই লাল বাজারেই তখন পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়েছিল । সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ছিল আক্কেলপুর রেল ষ্টেশনের পূর্বদিকে নবাবগঞ্জ নামক স্থানে। লাল বাজার থানার এবং খঞ্জনপুর কুঠীর ভারপ্রাপ্ত ইংরেজ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পলিবাড়ি, খঞ্জনপুর, পুরানাপৈল, পাঁচবিবি প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়েছিল। তৎকালে লালবাজার ছিল শহর এবং সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্জনের একমাত্র কর্মস্থল । দেশে তখনও রেল লাইন স্থাপিত হয়নি । মালামাল আমদানি, রপ্তানি এবং একস্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার জন্য নদীপথ ব্যতীত অন্য কোন উপায় ছিল না। তখন যমুনা নদী ছিল ভীষণ খরস্রোতা । লাল বাজার থানার ঘাটে মহাজনী ও সওদাগরী নৌকা ভীড়ত । এ নদী পথেই দূর দূরান্তে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলত।