ফ্রী ডাউনলোড করুন –ঝিনাইদহ ব্র্যান্ডিং বই
বিনামূল্যে বইটি পড়তে ও ফ্রি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন...
>ফ্রী ডাউনলোড করুন –ঝিনাইদহ জেলা ব্র্যান্ডিং বই
ঝিনাইদহ জেলাটি গঙ্গাঁর দুই শাখা নদী পদ্মা ও ভাগীরথীর সংযোগে গঠিত গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের অংশ বিশেষ বলে জানা যায়। টলেমির মানচিত্রে গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের দক্ষিণাংশে নদী-নালা পরিবেষ্টিত যে ভূমির অস্তিত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। ঝিনাইদহের আদি বসতি সেখানেই গড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় খৃষ্টাব্দের গোড়ার দিকে এর অস্তিত্ব ছিল।
প্রাচীন যুগেও বিভিন্ন শাসনামলে ঝিনাইদহের স্থায়ী জনবসতি এবং সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার অস্তিত্বের ইংগিত পাওয়া যায়। ষষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে ঝিনাইদহ অঞ্চলটি বঙ্গ তথা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এই জেলায় ১৩টি নদী, ২৯টি বাওড়, ৪২টি বিলসহ অসংখ্য নদ-নদী, হাওড়, বিল-বাওড় এর অস্তিত্ব ছিল এবং এর প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নদী পথ। এই নদী পথের পাশেই শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল যার অস্তিত্ব এখনও বহন করছে। গড়াই, কালী, ডাকুয়া ও কুমার নদের পাড়ে শৈলকুপা, কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কোটচাঁদপুর, চিত্রা নদীর পাড়ে কালিগঞ্জ, কোদলা, ইছামতি, বেতনা নদীর মাঝে মহেশপুর ও নবগঙ্গা পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে জন্ম নিয়ে নবগঙ্গা নদী হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে মাগুরার দিকে। এই নবগঙ্গাঁ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা শহর। পূর্বের মহকুমা প্রশাসক ও বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাংলোটি আসলে জেলখানার জেলারের কোয়ার্টার ছিল। মহকুমা প্রশাসকের বাংলো নবগঙ্গা নদী গর্ভে বিলীন হলে জেলারের এই কোয়ার্টারকে মহকুমা প্রশাসকের বাংলো করা হয়।