ফ্রী ডাউনলোড করুন – চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্র্যান্ডিং বই
বিনামূল্যে বইটি পড়তে ও ফ্রি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন...
>ফ্রী ডাউনলোড করুন – চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্র্যান্ডিং বই
চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাচীন ইতিহাস প্রায় অজ্ঞাত। গ্রীক ঐতিহাসিকদের বিবরণ ও টলেমির মানচিত্র থেকে অনুমান করা হয় বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলা সর্বপশ্চিমে ধারার (এবং তা ভগীরতী ও হতে পারে) অব্যবহিত পূর্বদিকেই ছিল। যশোর ও গোপালগঞ্জ জেলায় আনুমানিক চতুর্থ শতাব্দীর যে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে, তাতে প্রমানিত হয় যে, গঙ্গা - পদ্মার দক্ষিণ তীরের ভূখন্ড বেশ প্রাচীন। সুতরাং এ ধারণাও যুক্তিসঙ্গত যে, বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলা সেই প্রাচীন ভূখন্ডের অংশ বিশেষ। প্রাপ্ত তাম্রলিপি থেকে জানা যায় যে, কুমিল্লা থেকে সুদূর উড়িষা পর্যন্ত এ রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল। চুয়াডাঙ্গা যে সে রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত ছিল তাতে সন্দেহ নেই। তখন এ অঞ্চল সমতট বা বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। ধারনা করা হয় চুয়াডাঙ্গা এক সময় শশাঙ্কের রাজ্যভুক্ত ছিল। বল্লাল সেনের (১১৬০ - ১১৭৮ খ্রি:) আমলে চুয়াডাঙ্গা সেন রাজ্যভুক্ত ছিল। ১২৮১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবান বাঙলার শাসনকর্তা মুঘীসউদ্দিন তোঘরীকে পরাজিত ও নিহত করে বর্তমান চুয়াডাঙ্গাসহ সমগ্র বাংলাদেশকে তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। ১৪১৪ সাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা সুলতানী শাসনের অর্ন্তভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে শাহ শাসনামল ও হাবশী সুলতানদের শাসনামলে চুয়াডাঙ্গা তাঁদের অধীনে ছিল। ১৫৭৬ সালে দাউদ কররানী মোগল বাহিনীর কাছে পরাজিত ও নিহত হলে বাংলা মোগল শাসনে আসে। ১৬৯৫ সালে মেদেনীপুরের জমিদার শোভা সিংহ এবং জনৈক আফগান সর্দার রহিম খান দক্ষিণ - পশ্চিম বাংলায় মোগল রাজশক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করে। তারা চুয়াডাঙ্গা সহ দক্ষিণ - পশ্চিম বাংলা থেকে মোগল সেনাবাহিনী তাড়াতে সক্ষম হল।